ফযিলতপূর্ণ যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন ও আমাদের করণীয়
ফযিলতপূর্ণ যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন ও আমাদের করণীয়
![]() |
| Fazilat is the first day of Purna Hajja and our formative |
শপথ ভোরবেলার, শপথ দশ রাত্রির। - (সূরা ফজর : ১-২)
অধিকাংশ সাহাবী, তাবেয়ী ও মুফাসসিরের মতে, এখানে দশ রাত্রির দ্বারা যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ রাতকেই বুঝানো হয়েছে (তাফসীরে ইবনে কাসীর ৪/৫৩৫-৫৩৬)
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- ‘নির্দিষ্ট দিনসমূহে তারা যেন আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে সেই সকল পশুর উপর, যা তিনি তাদের দিয়েছেন’। (সূরা হজ্ব : ২৮)
অধিকাংশ উলামায়ে কেরামের অভিমত, সুনির্দিষ্ট দিনসমূহ দ্বারা যিলহজ্বের দশ দিনই বোঝানো হয়েছে। (তাফসীরে ইবনে কাসীর ৩/২৮৯)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন- ‘আল্লাহর নিকট যিলহজ্বের দশ দিনের নেক আমলের চেয়ে অধিক প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও (এর চেয়ে উত্তম) নয়? তিনি বললেন, না, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও নয়। তবে হ্যাঁ, সেই ব্যক্তির জিহাদ এর চেয়ে উত্তম, যে নিজের জানমাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য বের হয়েছে, তারপর কোনো কিছুই নিয়ে ফিরে আসেনি’। ( সহীহ বুখারী : ৯৬৯)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরো বলেন- ‘আল্লাহ তাআলার নিকট আশারায়ে যিলহজ্বের আমলের চেয়ে অধিক মহৎ এবং অধিক প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। সুতরাং তোমরা সেই দিবসগুলোতে অধিক পরিমাণে তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ) তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাকবীর (আল্লাহু আকবার) পাঠ কর’। (মুসনাদে আহমাদ : ৫৪৪৬)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন- ‘তোমরা যদি যিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখতে পাও আর তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করে তবে সে যেন স্বীয় চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে’। (সহীহ মুসলিম : ১৯৭৭)
আশারায়ে যিলহজ্বের আরেকটি বিশেষ আমল হল, ঈদুল আযহার দিন ছাড়া প্রথম নয় দিন রোযা রাখা। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এই নয়টি দিবসে (যিলহজ্ব মাসের প্রথম নয় দিন) রোযা রাখতেন। (সুনানে আবু দাউদ : ২৪৩৭; মুসনাদে আহমাদ : ২২২৩৪)
অন্য হাদীসে হযরত হাফসা (রা.) বর্ণনা করেন- ‘চারটি আমল রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কখনো ছাড়তেন না। আশুরার রোযা, যিলহজ্বের প্রথম দশকের রোযা, প্রত্যেক মাসের তিন দিনের রোযা, ফজরের আগে দুই রাকাত সুন্নত নামায’। (সুনানে নাসায়ী : ২৪১৫)
যিলহজ্বের প্রথম নয় দিনের মধ্যে নবম তারিখের রোযা সর্বাধিক ফযীলতপূর্ণ। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন- ‘আরাফার দিনের (নয় তারিখের) রোযার বিষয়ে আমি আল্লাহর নিকট আশাবাদী যে, তিনি এর দ্বারা বিগত এক বছর ও আগামী বছরের গুনাহ মিটিয়ে দিবেন’। (সহীহ মুসলিম : ১১৬২)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন- ‘যে ব্যক্তি আরাফার দিন রোযা রাখবে তার লাগাতার দুই বছরের গুনাহ ক্ষমা করা হবে’। (মুসনাদে আবু ইয়ালা : ৭৫৪৮; মাজমাউয যাওয়াইদ : ৫১৪১)
- [OHEE-ওহী পেইজ হতে সংগৃহিত]
"Fajilat of Yilhajj Month's First 10 Days and Our Duties"
The first ten days of the Islamic month of Dhu al-Hijjah (also known as Yilhajj in some regions) are considered to be very important and blessed. During these days, Muslims are encouraged to engage in acts of worship, charity, and self-reflection. Some of the specific duties that Muslims may perform during these days include:
. Fasting
. Increased charity and acts of kindness
. Reading and reciting the Quran
. Performing extra prayers and supplications
. Reflecting on one's past actions and striving to improve in the future
It is important to note that while these acts are encouraged during the first ten days of Dhu al-Hijjah, they can and should be performed throughout the year as part of a Muslim's continuous spiritual growth and development.
